ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জীবনের এক কঠিন অধ্যায়ের কথা তুলে ধরেছেন, যেখানে তাকে প্রচুর বডি শেমিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল। অসুস্থতার কারণে শরীরের স্থূলতা নিয়ে সমালোচকদের কটূক্তি তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। তবে দীঘি দমে যাননি। নিজেকে ফিট করার লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় সংকল্পে এগিয়ে গেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীঘি তার সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, “যে মানুষ বডি শেমিং করে, সে আদৌ বুঝতে পারে না এর প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে। শিকার হওয়া ব্যক্তির মানসিক অবস্থা নিয়ে কেউ ভাবেই না।”
দীঘি জানান, একসময় তিনি বডি শেমিংয়ের কারণে হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন। তার ভাষায়, “একটার পর একটা সমালোচনা শুনতে হতো। যখন ঠিক করলাম, আমাকে ফিট হতে হবে, তখন কোভিড এসে গেল। অসুস্থতার জন্য স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেতে হতো, যা শরীরকে আরও ভারী করে তুলত। তখন মনে হয়েছিল, আমি হয়তো আর পারব না।”
তবে সেই কঠিন সময় পেরিয়ে দীঘি নিজেকে আবার নতুন করে তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, “একটা বছর কষ্ট করতে হয়েছে, কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। অবশেষে নিজের শরীর এবং মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে এনেছি।”
একসময় শিশুশিল্পী হিসেবে সবার প্রিয়মুখ ছিলেন দীঘি। এখন তিনি পুরোপুরি নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অভিনয়ে প্রশংসা কুড়ালেও সামাজিক মাধ্যমে টিকটক বা রিল ভিডিও করার জন্য সমালোচনার শিকার হন। বডি শেমিংয়ের বিষয়টি সেই সমালোচনারই একটি অংশ ছিল।
দীঘির এই অভিজ্ঞতা বডি শেমিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব এবং এর বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।