সার্টিফিকেটে মায়ের নাম সংশোধনের নিয়ম জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি সার্টিফিকেটে মায়ের নাম সংশোধনের অনলাইন প্রক্রিয়া জানুন। ধাপে ধাপে নির্দেশনা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, এফিডেভিট, পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি, এবং সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
সার্টিফিকেটে মায়ের নাম সংশোধনে আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা,
সার্টিফিকেটে নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে দুইটি ক্ষেত্রে করানো যায়। যদি সামান্য ভুল থাকে তাহলে এক ধরনের যদি সম্পূর্ণ নাম ভুল থাকে তাহলে আরেক ধরনের, যদি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি আমার মায়ের নাম ছিল সেলিনা আক্তার তার আইডি কার্ডে ছিল, আর আমার সবকিছুতেই ছিল নাম মিনা আক্তার, আপনার যদি তেমন ভুল হয়ে থাকে, তাহলে প্রথমে কোট এফিডেভিট করান। সাথে পারিবারিক সনত নিয়ে যাবেন। তারপর পেপারে একটি নিউজ দিবেন, তারপর অনলাইনে একটি আবেদন করবেন, যেটি দালালের মাধ্যমে অথবা শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ফেসবুকে যুক্ত থাকুন,ফেসবুকে একটি মেসেজ দিলে হবে। আজেবাজে কথা না বলে শুধুমাত্র কি প্রয়োজন সেটি লিখলে আনসার পাবেন।
সার্টিফিকেটে মায়ের নাম সংশোধনের নিয়ম
নিচে আরেকটু গুছিয়ে লিখেছি। এরপরে আরো সুন্দরভাবে অন্যভাবে বুঝিয়ে দেওয়া আছে। দুইটি স্ট্রাকচার ভালো ভাবে দেখেন। আমি স্ট্রাকচার ০১ /০২ দিয়ে বুঝিয়ে বলছি
স্ট্রাকচার ০১
সার্টিফিকেটে নাম সংশোধনের নিয়ম
সার্টিফিকেটে নাম সংশোধনের জন্য সাধারণত দুটি ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
- সামান্য ভুল (যেমন বানান বিভ্রাট) হলে — সহজ প্রক্রিয়ায় সংশোধন করা যায়।
- সম্পূর্ণ নাম ভিন্ন (যেমন মায়ের নামে “সেলিনা আক্তার জিতি” থাকলেও আমার নথিতে “মিনা আক্তার” লেখা) — এমন ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত ধাপ অনুসরণ করতে হয়।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ
- প্রথমে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে একটি কোর্ট এফিডেভিট করতে হবে।
- এরপর পারিবারিক সনদ (Family Certificate) সংগ্রহ করে সঙ্গে রাখতে হবে।
- একটি পত্রিকায় (নিউজপেপারে) নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
- সবশেষে, শিক্ষা বোর্ডের অনলাইন পোর্টালে গিয়ে একটি নাম সংশোধনের আবেদন করতে হবে।
এটি আপনি চাইলে
- নিজের মাধ্যমে করতে পারেন, অথবা
- কোনো দালাল বা শিক্ষা বোর্ডের নির্দিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর সহায়তায়ও করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ বিস্তারিত তথ্য ও সহযোগিতার জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন।
অনুরোধ: শুধু প্রাসঙ্গিক তথ্য লিখুন, অপ্রয়োজনীয় বার্তা এড়িয়ে চললে দ্রুত উত্তর পাওয়া সম্ভব।
স্ট্রাকচার ০২
ভূমিকা
ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির সাথে সাথে শিক্ষা সনদে ভুল সংশোধনের প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়, যা সময় ও শ্রম সাশ্রয় করে। জেএসসি, এসএসসি, এবং এইচএসসি সার্টিফিকেটে মায়ের নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে সহজ এবং স্বচ্ছ পদ্ধতি রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সঠিক নির্দেশনা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উদাহরণসহ মায়ের নাম সংশোধনের ধাপ, কাগজপত্র, এবং অন্যান্য তথ্য বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো।
সংশোধন প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ
মায়ের নাম সংশোধনের জন্য নিম্নলিখিত ছয়টি ধাপ অনুসরণ করতে হবে
- শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ: ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (http://dhakaeducationboard.gov.bd/) এ গিয়ে “Online Services” বা “Name & Age Correction” লিংক নির্বাচন করুন। এটি আবেদন ফর্মের পেজে নিয়ে যাবে।
- আবেদন ফর্ম পূরণ: ফর্মে পরীক্ষার ধরন (জেএসসি, এসএসসি, বা এইচএসসি), পাসের সন, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, কেন্দ্রের নাম ও কোড, মোবাইল নম্বর, এবং স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা পূরণ করুন।
- সংশোধনের ধরন নির্বাচন: “Mother’s Name Correction” অপশন টিক দিয়ে মায়ের নাম সংশোধনের কারণ (যেমন, বানান ভুল বা নামের অসঙ্গতি) লিখুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড: মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, আবেদনকারীর জন্ম সনদ, প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়নপত্র, এফিডেভিট, এবং অন্যান্য প্রয়ো�্য কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
- এফিডেভিট ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি: প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট সম্পাদন করুন এবং একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করুন।
- ফি জমা ও সভায় অংশগ্রহণ: আবেদন জমা দেওয়ার পর সোনালী সেবা থেকে পিডিএফ প্রিন্ট করে সরকারি ফি ব্যাংকে জমা দিন। এসএমএসে জানানো সভার তারিখে উপস্থিত থাকুন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা
কাগজপত্র | বিস্তারিত |
---|---|
জন্ম সনদ | আবেদনকারীর জন্ম সনদ, যেখানে মায়ের সঠিক নাম উল্লেখিত। |
মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র | মায়ের নাম ও তথ্য যাচাইয়ের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি। |
প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়নপত্র | স্কুল/কলেজ প্রধানের সত্যায়ন, যা সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করে। |
এফিডেভিট | মায়ের নাম সংশোধনের জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পাদিত হলফনামা। |
পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি | জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি, এফিডেভিটের রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ। |
ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন | গ্রামের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা শহরে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সত্যায়ন। |
প্রশ্ন: সার্টিফিকেটে মায়ের নাম সংশোধনের জন্য কোন কাগজপত্র জমা দিতে হবে?
উত্তর: আবেদনকারীর জন্ম সনদ, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়নপত্র, এফিডেভিট, জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি, এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আপলোড করতে হবে।
প্রশ্ন: মায়ের নাম সংশোধনের প্রক্রিয়া কতদিন সময় নেয়?
উত্তর: সামান্য বানান ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে ৩-৪ মাস লাগতে পারে। তবে নামের বড় পরিবর্তন বা অতিরিক্ত যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে ১ বছরের বেশি সময় লাগতে পারে।
প্রশ্ন: এফিডেভিট কীভাবে এবং কে করতে পারে?
উত্তর: আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম হলে পিতা বা অভিভাবকের দ্বারা এফিডেভিট সম্পাদন করতে হবে। প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছে গিয়ে আবেদনকারীর নাম, মায়ের নাম, পরীক্ষার বিবরণ, এবং সংশোধনের বিষয় উল্লেখ করে এফিডেভিট তৈরি করতে হবে।